এক নম্বর নিয়ম : ‘রানিকে চুমু খাবেন না’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনদিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে আজ যুক্তরাজ্য এসে পৌঁছেছেন – যে সফরকে কেন্দ্র করে এমন সব বিতর্ক ও ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে যা অনেক দিক থেকেই নজিরবিহীন। কয়েক দিন আগেই লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ‘নারী ও ইসলাম সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভুল ধারণার’ তীব্র সমালোচনা করে তাকে ‘একবিংশ শতাব্দীর ফ্যাসিস্ট’ বলে বর্ণনা করেছেন। আর জবাবে মি. ট্রাম্প বলেছেন, সাদিক খান একজন ‘স্টোন-কোল্ড লুজার’।

বিরোধী দল লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতাসহ বেশ কিছু রাজনীতিবিদ মি. ট্রাম্পের সম্মানে দেয়া নৈশভোজ বয়কট করার কথা জানিয়েছেন। লন্ডনে বিক্ষোভকারীরা তার সফরের প্রতিবাদ জানাতে এমন একটি মানবাকৃতির বেলুন ওড়াবেন যাতে মি. ট্রাম্পকে এক অতিকায় ন্যাপি-পরা শিশু হিসেবে দেখানো হয়েছে।

তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে – যিনি আর কয়েকদিন পরই বিদায় নেবেন – এ সফরকে ব্রিটেন ও আমেরিকার বিশেষ সম্পর্ক জোরদার করা এক সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম দিনের কর্মসূচির মধ্যে আছে বাকিংহ্যাম প্রাসাদে রানি এলিজাবেথের সাথে সাক্ষাৎ, ওয়েস্টমিনস্টার গির্জা সফর, অনামী যোদ্ধাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রিন্স চার্লসের সাথে সাক্ষাত এবং রাতে বাকিংহ্যাম প্রাসাদে নৈশভোজ।

ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও তার কথা ও কাজ দিয়ে বিতর্ক তৈরির ক্ষেত্রে একজন পারদর্শী লোক। অনেক সময়ই তিনি কথা বলার সময় প্রেসিডেন্টসুলভ আদবকায়দা মেনে চলেন না। গতবার ব্রিটেন সফরের সময় দেখা গিয়েছিল, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাথে সাক্ষাতের রীতিনীতি মেনে চলার ক্ষেত্রেও মি. ট্রাম্প গোলমাল বাধিয়ে বসেছেন।

এখানে দেখে নেয়া যাক ব্রিটেনের রানির সাথে সাক্ষাতের সময় অতিথিদের কি কি রীতি মেনে চলতে হয়। এ ব্যাপারে একজন বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন ডায়ানা ম্যাথার। তিনি বলছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি নিয়ম হলো এই রকম।

আপনি আরও পড়তে পারেন